Ticker

6/recent/ticker-posts

সিলেটে তে'লের মজুদ রয়েছে দেড় কো'টি ব্যা'রেল

 


সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকায় সিলেট-১০ কূপে প্রায় দেড় কোটি ব্যারেল (১৪.৮ মিলিয়ন ব্যারেল) উত্তোলনযোগ্য তেলের মজুদ পাওয়া গেছে।


আন্তর্জাতিক কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান স্লামবার্জারের রিপোর্ট অনুযায়ী, দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হলে এই মজুদ দিয়ে প্রায় ১০ বছর উৎপাদন সম্ভব।

প্রধান তথ্য:

  • মজুদ পরিমাণ: স্লামবার্জারের রিপোর্টে সিলেট-১০ কূপে ১৪.৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উত্তোলনযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


  • তেল উত্তোলনের সক্ষমতা: প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল উত্তোলন সম্ভব।

  • গভীরতা: ১৩৯৭ থেকে ১৪৪৫ মিটার গভীরতায় তেলের অবস্থান চিহ্নিত হয়েছে।

  • প্রাথমিক ফলাফল: পরীক্ষামূলক উত্তোলনে প্রথম দিন মাত্র ২ ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।

পেট্রোবাংলার অবস্থান:

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানিয়েছেন, স্লামবার্জারের রিপোর্ট জমা পড়েছে, তবে মজুদ নিশ্চিত করতে পেট্রোবাংলার নিজস্ব টিমের মূল্যায়ন শেষ হওয়া জরুরি।


তিনি আরও বলেন, তেলের মান উৎকৃষ্ট এবং এটি দেশের জ্বালানি খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

গ্যাসের সম্ভাবনা:

সিলেট-১০ কূপে তেলের পাশাপাশি তিনটি গ্যাস স্তরের অবস্থান চিহ্নিত হয়েছে।


এগুলোর সম্ভাব্য মজুদ ৪৩.৬ থেকে ১০৬ বিলিয়ন ঘনফুট বলে আশা করা হচ্ছে। গ্যাস উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় পাইপলাইন স্থাপনের কাজ বর্তমানে চলমান।

পাইপলাইন স্থাপনের চ্যালেঞ্জ:

তেল ও গ্যাস উত্তোলনে পাইপলাইনের অভাব একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।


জৈন্তাপুর থেকে হরিপুর পর্যন্ত ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপলাইন নির্মাণ কাজ চলছে, যা সম্পন্ন হলে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

সম্ভাবনার আলো:

২০২৩ সালের নভেম্বরে সিলেট-১০ কূপের খনন শেষ হয়।


এই কূপ থেকে উত্তোলন শুরু হলে দেশের জ্বালানি খাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মজুদ দেশীয় জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


Post a Comment

0 Comments